সরাইলের হাঁসলী মোরগ এর উচ্চতা, ক্ষিপ্রতা, দৈহিক শক্তি ও কস্ট সহিষ্ণুতার জন্য বিখ্যাত । মোঘল আমল থেকে এ অঞ্চলে মোরগ লড়াই চালু হয় বলে জানা যায় । বিশেষ করে সরাইলের দেওয়ানদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মোরগ লড়াই এ অঞ্চলে বিশেষ তাৎপর্য লাভ করে । দুটি মোরগের মধ্যে অনুষ্ঠিত লড়াইয়ে মোরগের নখগুলোকে চোখা তীক্ষ্ণ করা হয় । যতক্ষণ না একটি মোরগ পরাজিত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চলতে থাকে । সরাইলের দেওয়ান মনোয়ার আলী সুদূর ইরান থেকে মতান্তরে রায়বেরেলি থেকে একপ্রকার যুদ্ধবাজ মোরগ দেশে আনয়ন করেন । এ ধরনের মোরগকে হাঁসলি মোরগ বা আসলি মোরগ নামে সবাই চেনে। অত্যন্ত দুধর্ষ ও কষ্ট সহিষ্ণু হিসেবে এদের সুনাম আছে । এ মোরগ গুলো যুদ্ধের সময় যে কায়দায় পরষ্পরকে মার দেয় এগুলোর আলাদা নাম আছে । যেমন - নিম, কারি, বাড়ি, ফাঁক, ছুট ও কর্ণার। হাঁসলি মোরগ বিশেষ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত । হাঁসলী মোরগের যে গুলোর গলায় পালক থাকে না সে গুলো অত্যন্ত জেদী যোদ্ধা হয়ে থাকে । এগুলো পরাজয় বরণে পিছু হটেনা । শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে থাকে । যোদ্ধা একজোড়া ভাল মোরগের দাম ২৫,০০০/- টাকা থেকে ৩০,০০০/-টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস